কোন কিছু খুঁজতে চাইলে, বক্সে লিখুন

Sunday 9 July 2017

দিশেহারা আমার অহংকার

অনেক দিন পর (শিক্ষা সফরে সুন্দর বন ভ্রমণের পর )জঙ্গলে ঢুকে পড়েছি । জঙ্গলির ভয়ে দিশেহারা হয়ে গেলাম। এই প্রসঙ্গে পরে আসি।
আমার এক আত্মীয় পরম আত্মীয় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিবে । তার চান্সের ব্যাপারে কনফিডেন্ট একশ পারসেন্ট। দিশেহারা যদি প্রশ্ন ফাঁস হয়, যদি টাকার খেলা হয়। আমার অনেক পরম বন্ধু, পরম ছোট ভাই, পরম বড় ভাই পুরোপুরিই দিশেহারা । ঘুষ ছাড়া ভাল চাকরি হয় না। একেকটা মেধাবী স্টুডেন্ট জীবনের অন্যতম সোপান
বিশ্ববিদ্যালয় দিশেহারা হয়ে শুরু করে। নিজের পছন্দের বিষয়ে বেশির ভাগ পড়তে পারে না। অটোমেটিক যা পাই তাই পড়ে। দিশেহারা হয়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ শুরু করে । যারা ভাল করেন তারা দিশেহারা হয়ে যাই। আমি এত ভাল করলাম । আর যারা ভাল করতে পারে না, তারা তো জন্ম থেকেই দিশেহারা। বাঙালি জাতি নয়, নাম হওয়া উচিত দিশেহারা জাতি। একাত্তরে বিজয় পেয়ে জাতি দিশেহারা হয়ে যাই "লন্ডভন্ড দেশ নিয়ে এখন কি হবে ? " পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু কে হত্যাকাণ্ডে জাতি দিশেহারা হয়ে পড়ে । আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনামলে শাসকরাই দিশেহারা ক্ষমতাই টিকে থাকার লোভে ।
আমি জঙ্গলে ঢুকে দিশেহারা হয়ে গেলাম । অনেক দিন পর আমার তিনতলা বাসার ছাদে গেলাম । পঞ্চগড়ে বড় বিল্ডিং খুব নাই। ইসলামবাগে একটা পাঁচ তলা বাড়ি আছে । পাঁচ তলা বিল্ডিং নামে সবাই চিনে । খুব সম্ভবত এর চেয়ে আর বড় বাড়ি পঞ্চগড়ে নাই। আমার বাসার আশে পাশে শুধু আমার টাই তিনতলা,  আর তিনতলা বাড়ী নাই। বাসার ছাদ থেকে যেদিকে দেখি শুধু গাছপালা গাছপালা আর গাছপালা। ছাদটাকে জঙ্গল মনে হচ্ছে।  ছাদে ওঠে আবিষ্কার করলাম আমি জঙ্গলে ঢুকে পড়েছি । দিশেহারা হয়ে গেলাম । মনে হচ্ছে এই বুঝি বন্য প্রাণীদের আক্রমণে পড়লাম । ছাদের উপর থেকে দশ গজ দূরে শুধু গাছ আর গাছ। খাটি জঙ্গল, কোন ঘর বাড়ি দেখা যায় না। যেদিকে চোখ, শুধু গাছ আর গাছ। আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম ।
টিভি চ্যানেলে একটা খবর প্রচারিত হচ্ছে, যার এক লক্ষ টাকা আছে সে ধনী । আমি আবার চরম দিশেহারা হয়ে গেলাম। দিশেহারা ছাত্রটির মত করে বলতে ইচ্ছা করছে "এত ধনী হলাম কেমন করে" । ধন্যবাদ আবুল মাল আবদুল মুহিত । কেউ বলে ধন্যবাদ মাল। আমাদেরকে বিনা পরিশ্রমে ধনী করার জন্য । দিশেহারা হয়ে হোক তাও তো ধনীর স্বাদ পেলাম।
দিশেহারা জাতির চরম শান্তি ।



কেমন লাগল পরামর্শ আশা করছি।

No comments:

বই পড়ুন

একশো বছর আগে প্রকাশিত যে বইটি এখন বাজারে পাওয়া যায় তা ঐ সময়ের সবচেয়ে ভালো বই। বইয়ের লেখক ঐ সময়ের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ। লেখক তার সর্বোচ্চ মেধা এবং সবচেয়ে ভালো কথা গুলো লেখেন। সুতরাং বই পড়ছেন তো সবচেয়ে জ্ঞানী লোকের সবচেয়ে ভালো কথা গুলো পড়ছেন।