কোন কিছু খুঁজতে চাইলে, বক্সে লিখুন

Tuesday 23 October 2018

নারী এবং কম্পিউটার।

আমরা জানি আজ থাকে অনকে বছর আগে এক হাজার দেড় হাজার কিংবা তারও একটু আগে বা পরে আমাদের সমাজ ছিল নারী শাসিত সমাজ। নারীরা ছিল সকল ক্ষমতার মূল উৎস। ওই সমাজে কোন বিয়ে ছিলনা। ইতহিাস ঘাটলে তারই প্রমান পাওয়া যায়। তারা দশ জন, বিশ জন কিংবা তারও বেশী দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করতো। কে কার স্বামী বা কে কার বউ এমন কোন নিয়ম ছিলনা। তাই নারীই ছিল তার পরর্বতী প্রজন্মরে একমাত্র পরিচায়ক।

অন্য ভাবে বলতে গেলে ঐ যুগে কায়িক পরশ্রিম বা পেশি শক্তির ব্যবহার বেশী ছিলনা, এমন ধারনা করা হয়। তাই নারীরা ছিল সমাজের শাসক। ধীরে ধীরে সভ্যতার বিকাশে চাকা আবস্কিার হলো, চাকা আবিষ্কারের ফলে কায়িক বা পেশী শক্তির ব্যবহার বেড়ে গেল। পেশী শক্তির কাছে নারী সমাজ ব্যর্থ হতে হতে নারী তার র্কতৃত্ব হারাতে শুরু করলো। ধীরে ধীরে আমাদরে সমাজ হয়ে গেল পুরুষ শাসিত সমাজ। সাম্প্রতকি বিশ্বে মাত্র গত কয়েক দশক আগে সারা বিশ্বকে শাসন করছেে পুরুষ। নারী চলে গেছে মঞ্চের পিছনে। 

র্বতমান প্রযুক্তির যুগে সমাজ ব্যবস্থা খুব দ্রুত পরর্বিতন হয়ে যাচ্ছে। এই কয়েক বছর আগে মোবাইল ছিল শুধু মাত্র কথা বলার জন্য। আমি প্রাইমারীতে পড়া অবস্থায় (নব্বই এর দশক) কম্পিউটার নামটি কারও কাছে শুনছি কিনা আমার সন্দেহ। দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজে নারী পুরুষ সমতা আসা শুরু করছে। নারীও অংশগ্রহন করছে বিভিন্ন কাজে। লক্ষনীয় বিষয়- যেসব কাজে পেশী শক্তির ব্যবহার কম, সেসব কাজে নারীর অংশগ্রহন বাড়ছে। আরোও লক্ষনীয় বিষয় – র্বতমান প্রযুক্তি বিশ্বে পেশী শক্তির কাজের পরিমান কমতে শুরু করেছে। আগে ছিল ঠেলাগাড়ী, তারপর গরুগাড়ী, ভ্যানগাড়ী এখন আসছে আটোগাড়ী। এখন আরও আসছে হোমডলেভিারী রোবট। রোবটকে কমান্ড দিয়ে দিলে আমার বাড়ীতে দিয়ে যাবে কাঙ্গিত সেবা। সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ছোয়া। শুধু বাটন চাপার কাজ। খুব অল্প সময়ে আমরা দেখতে  পাবো পেশী শক্তির ব্যবহার খুবই কমে গেছে।

যেহেতু পেশী শক্তির ব্যবহার চরম আকারে কমে যাবে, তাই নারীই হবেে আমাদের সমাজের শাসক। এমনকি শুধু নারীই নির্ভেজাল ভাবে দাবি করতে পারে তার উত্তরাধকিার।সুতরাং আসছে নারী শাসিত পরর্বতী সমাজ।

আসছে সমাজে নারীকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রত্যকেটি নারীকে হতে হবে দক্ষ, হতে হবে যোগ্য। হতে হবে প্রযুক্তি জ্ঞান নির্ভর।

No comments:

বই পড়ুন

একশো বছর আগে প্রকাশিত যে বইটি এখন বাজারে পাওয়া যায় তা ঐ সময়ের সবচেয়ে ভালো বই। বইয়ের লেখক ঐ সময়ের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ। লেখক তার সর্বোচ্চ মেধা এবং সবচেয়ে ভালো কথা গুলো লেখেন। সুতরাং বই পড়ছেন তো সবচেয়ে জ্ঞানী লোকের সবচেয়ে ভালো কথা গুলো পড়ছেন।