কোন কিছু খুঁজতে চাইলে, বক্সে লিখুন

Sunday 30 August 2015

অবিনশ্বর ও নশ্বরবাদ

তারিক টা খুব সুন্দর ৩০দিন ০৩মাস ৩০৩০সাল । মজার ব্যাপার ০ ও ৩  এর খেলা । চার চার টা ৩ ও চার চার টা ০ এর খেলা। এরকম দিনে চুপচাপ বসে থাকা যায় না । একটা ইশারা তো চাই । যেমনী ইশারা তেমনী কাজ । গোটা বিশ্ববাসী অবাক একি হচ্ছে  এই গ্রহে , ক্লিক ওয়ান এর মাথায় বাম পাশে প্রতি মিনিটে মিনিটে কি যেন একটা ক্লিক দিচ্ছে । ক্লিক চিন্তায় অস্থির দাদার ডাইরি হতে ক্লিক জানে আজ থেকে অনেক  বছর আগে কি যেন একটা অসুখ ছিল সারা শরীরে শুধু  কিট কিট করে কামড়াত । যতই চিন্তা করছে ততই ক্লিক অস্থির হচ্ছে ক্লিক।


সে আরোও জানতে পারে ঐ অসুখটা খুব মারাত্মক যাকে ধরবে তাকে আর ছাড়ে না । দুমড়ে মুচড়ে দেহ ছোট হয়ে যাচ্ছে কাজে  মনোযোগ হচ্ছে না।  ক্লিক ভাবে তাহলে কি ১০০ বছর পর আবার ফিরে আসবে ঐ অসুখটা । ক্লিক পাশের জনের সাথে নিয়ে আলাপ করে তারও একই অবস্থা যান্ত্রিক মেশিন দ্বারা বউয়ের খবর গ্রহন করে । বউ শটিং এর একই অবস্থা । শটিং তার স্বামীর খবর পর্দায় দেখে তারও একই অবস্থা। এটি এমন একটা মেশিন সবার নিজস্ব ফোল্ডারে তাৎক্ষনিক নিজস্ব খবর অটোমেটিক যুক্ত হয়ে যাবে । কারও ব্যক্তিগত ফোল্ডার খোলার জন্য মনে রাখতে শুধুমাত্র পিন কোড। ক্লিক আরও কয়েক জনের ব্যাক্তিগত ফোল্ডারে দেখে সবারই একই অবস্থা । ক্লিক এবার মর্মাহত বিচলিত । সত্যি কি তাহলে ১০০ বছর আগের অসুখটি আবার মাথা উচু করে এসে ধ্বংস করে দিয়ে যাবে কোটি কোটি মানব দেহ । কিট কিট কামড় চিন্তার আঘাত দুটো মিলে তাকে ভংয়কর মনে হচ্ছে। ক্লিক কত কি চিন্তা করে তার কোন হিসাব নেই।
গত কয়েক বছর আগে পৃথিবীর সব নামী দামী চিকিৎসক অনেক গবেষনা, আলোচনা, সমালোচনা মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব বাসিকে জানিয়ে দেয় , মানব জাতি সভ্যতার এমন এক পর্যায়ে আে য়েখানে মানুষ খুব সচেতন এই সচেতনতার জন্য মানুষ কোন ক্ষতিকর পদার্থ গ্রহন করছে না। আর এই কারনে এখন থেকে কোন অসুখ আক্রমন করতে পারবে না।
তার চিন্তা আরোও সুক্ষ হতে থাকে । পৃথিবীতে ডাক্তারের সংখ্যা নেই বললেই চলে আর যারা আছে তারা যথেষ্ট বয়স্ক । তারা আমাদের মত যান্ত্রিক মেশিন ব্যবহারে অভ্যস্থ নয় কিভাবে তারা সুরক্ষা করবে সারা পৃথিবীর মানুষকে । ক্লিক মনে মনে একটা জরিপ করে সে হিসাব করে দেখে ছোট এই শহরে ১০ কোটি মানুষের বাস । প্রতি লক্ষ মানুষের জন্য ১০ জন ডাক্তার হলে প্রতি কোটি মানুষের জন্য ডাক্তার লাগবে ১০০০জন করে তাহলে ১০কোটি মানুষের জন্য ডাক্তার লাগবে ১০০০০জন। সারা পৃথিবীতে ডাক্তার লাগবে প্রায় এক কোটি । এ এক মস্ত বড় হিসাব । এবার ক্লিক তার সার্চ মেশিনে ডাক্তারের পরিসংখ্যান বের করার জন্য বসে পড়ে মেশিনে । অনেক খোজা খোজি করে সারা পৃথিবীর ডাক্তারের পরিসংখ্যান বের করে প্রায় ১০ হাজার জন । ক্লিক এর মাথার কিট কিট বড়তে থাকে । ডাক্তারের পরিসংখ্যান, কিট কিট কামড়, ডাক্তারের কর্মদক্ষতা কমে যাওয়া ১০ হাজার কোটি মানব দেহ ধ্বংস এসব চিন্তায় প্রায় সঙ্গাহীন। ভাবনার জগৎ প্রায় অস্থির । জড় পদার্থে পরিনত হচ্ছে প্রায় , কিন্তু তার তো জড় পদার্থে পরিনত হওয়া যাবে না । এই গ্রহের প্রতি তার প্রগাঢ় ভালবাসা পৃথিবীতে মানব দেহ না থাকলে গ্রহটির তো কোন মূল্য নাই । গ্রহটিকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় মানব দেহ রক্ষা করা । কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব।
অস্থিরতার মাঝে ক্লিক খিদা অনুভব কছে। খিদা জিনিসটা তার কাছে এবার খুব ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে । ক্লিক ভাবে আমি এই গ্রহে থাকব কিনা । এই রোগে সবাই ধ্বংস হলে ‘খিদা লাগছে ’এই কথাটা বলার মতো কেউ থকবে কিনা জীবনের এই প্রান্তীয় সময়ে খিদা অনুভব থেকে মুক্তি পেলাম না। মনে মনে ভাবে আমি সুখে থাকি , দুখে থাকি অসুখে থাকি খিদা তুমি চিরন্তন সঙ্গী ।
ক্লিক তার মেশিনে meal at mid day  বলে সংকেত দেয় কিছুক্ষন পর খাবার তার সামনে । খাবার শেষ করে বিশ্রামের জন্য বিছানায় গা লেলিয়ে দেয় । এত অস্থিরতার মাঝেও ক্লিক  অতি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যায় । যান্ত্রিক মেশিনের ব্যক্তিগত ফোল্ডারে তার যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য সেটিং করা আছে । কখন ঘুম হতে জাগতে হবে তার ফোল্ডার হতে মেশিন তাকে বলে দিবে । প্রতিদিনের মতো আজো সে জেগে ওঠে মেশিনের ইশারায়।
ক্লিক দাদার ডাইরি খুজে বের করে ক্লিক চিন্তা করে ১০০ বছর আগের সব কালচার খুজে বের করতে হবে। তার একমাত্র উপায় দাদার জীবনের প্রতিটি পাতা মনোযোগ দিয়ে পড়া । ক্লিক ০৩.০৩.২৯৪০ তারিখ লিখে সার্চ চালিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে একটি পেজ ওপেন হয় ।
দাদা দাদীকে বলছে তোমার রান্না এত বেশী সুসাদ্ধু এবং সুন্দর হয় মাইক্রন আমি আগে কখনও বুঝি নাই। সম্ভব হলে প্রতিদিন তোমার রান্না করা খাবার খাইতাম । আজকের দিনটা বিশেষ একটা দিন হিসাবে মনে রাখব । আমি মরে যাব আমার সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু এই দিনটা মনে রাখার চেষ্টা করব । কখনও ভুলে যাব না । মাইক্রন দেখ এখন কি আজেবাজে খাবার রান্না হচ্ছে । যার কোন স্বাদ নেই বললেই চলে ।
আমার দাদার কাছে গল্প  শুনেছি , একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা মানে বিশাল ঝক্কি ঝামেলা । খাবারের ব্যবস্থার জন্য কি সব হাট বাজার ছিল ঐখানে গিয়ে একটা একটা করে সংগ্রহ করতে হত প্রয়োজন মত । তারপর কাধে করে নিয়ে আসা তারপর রান্না করা । কি যে ঝামেলা ছিল। আর এখন কি সব যান্ত্রিক সময় । কি প্রয়োজন ক্লিক কর চলে আসবে কি ধরনের খাবার খাবে ।
ক্লিক ডাইরি থেকে জানে কিভাবে দাদী এত সুন্দর ভাবে খাবার পাক করত । ক্লিক ইদানীং খুব একমুখী হয়ে যাচ্ছে ক্লিক ভাবে আর খুব বেশী দিন এই গ্রহে থকা যাবে না । দাদা-দাদীর কথা খুব মনে পড়ছে । দাদা তার জীবনের এক আদর্শ । তাই আজকে কোন ভাবে অবহেলা করা যাবে না । শটিং কে ডাকে নিয়ে আসে এবং কিভাবে ২৯০০ সালে খাবার পাক করেছিল তা দেখিয়ে দেয় । শটিং খুব উৎসাহের সাথে খাবার পাক করতে থাকে । ক্লিক বলে হাতে পাক করা খবার খেতে তোমার অবশ্যই ভাল লগবে । দুজন খাবার টেবিলে । হঠাৎ ক্লিক এর মুখ গোমড়া হয়ে যায় । ক্লিক হাও মাও কেদে ফেলে। শটিং অবাক একি তুমি কাদছ কেন? এ যুগে কান্না তো খুব লজ্জার ব্যাপার । এ যুগে কেন দাদার ডাইরি হতে পড়নি। দাদার  অফিসে কান্নার জন্য কি অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছিল । কান্না তো অনেক অগে ছুটি নিয়ে গেছে । কেন তুমি অজথা এরকম করছ । অবুঝ শিশুর মতো কেদে চলছে বিরতিহীন । ক্লিককে জড়িয়ে আছে শটিং । কদো কাদো অবস্থায় ক্লিক বলছে আর বেশী দিন এই গ্রহে মানুষ থাকবে না।
আমি নিশ্চিত জানি ১০০ বছরের সেই অসুখটা আবার ফেরত আসছে আমাদের মাঝে । আমরা যেহেতু আর বেশীদিন থকব না তাই যে কয়দিন আছি দাদীর শিখানো পাকে রান্না করে খবার খাব যা দাদার নামে উৎসর্গ । কিন্তু কি হয়েছে তা তো বলবে পাগলের মতো কি প্রলাপ বকে যাচ্ছ। শটিং দাদার ডাইরি হতে আমি জানি ঐ সময় একটা অসুখ ছিল, অসুখের তান্ডবে হাজার হাজার লোক মারা গেছে। তখন ডাক্তার ছিল পর্যাপ্ত এ কারনে আমরা এখনও বেচে আছি কিন্তু এখন ডাক্তার প্রায় নেই, আর যারা আছে তারা চর্চা ছাড়া, তাদের উপর ভরসা করা যায় না । অতএব নিশ্চিত পৃথিবীতে আর কোন মানব থাকবে । শটিং বলে কি হয়েছে কেন পৃথিবী মানব শূন্য হয়ে যাবে তার তো যথেষ্ঠ ব্যাখ্যা চাই । তুমি জাননা অনেক আগে সারা পৃথিবী ব্যাপী কি যেন কিট কামড়ের একটা অসুখ ছিল । মাথার এক পাশ দিয়ে শুরু হয়ে আস্তে আস্তে সমস্ত মাতা তারপর সমস্ত দেহ এবং কয়েক দিন পর . . . . . . . ? না আমার খুব ভয় করছে । শটিং তুমি আমাকে আর ছাড় না এভাবে ধরে রাখ ।
ক্লিক তুমি কি জান তোমার সব বিষয়ে কেমন একটা আবেগ কাজ করে যা বর্তমান পৃথিবীতে খুব হাস্যকর । আরোও কি হাস্যকর জান তোমাকে মাঝে মাঝে খুব বোকা মনে হয় । তুমি খারাপ হোক আর ভাল হোক সম্যক জ্ঞান না নিয়ে বেশী উৎসাহী , না হয় বেশী আবেগী হয়ে যাও । এরকম বোকারা ছাড়া আর কেউ করে না । সুন্দর কোন বিষয় নিয়ে উৎসাহী হব ভাল কথা কিন্তু উৎসাহী হুল্লোর এর দেখা গেল বিষয় টা মোটেও ভাল না নিতান্ত তুচ্ছ একটা ঘটনা ।  বেশী উৎসাহী হওয়া যাবে না মি: ক্লিক ।
তুমি চুপ কর শটিং এ মুহূর্তে ফাজলামো মোটেই আরামদায়ক নয় । তুমি কি জান কিট কিট কামড় কি ভয়ানক অবস্থায় ফেলেছে আমাকে। বুঝতে পারছি তোমার হাউ মাউ দেখে । ভয়াবহ অবস্থার সহজ সমাধান আছে। মি: ক্লিক হকচকিয়ে ওঠে । এত বড় জটিল বিষয়ের সহজ সমাধান কি হতে পারে ।
মি: ক্লিক তোমার মেশিনে যাও , বস , চালু কর তারপর তোমার ফোল্ডার চালু কর । তারপর কি অবস্থা হয় দেখ। ক্লিক একটু স্বস্তি ফিরে পাই কিন্তু ভয় তার পিছু ছাড়ে না । কাদো কাদো অবস্থায় বলে তোমাকে ছেড়ে যাব না । শটিং প্লিজ তুমি সহ চল একাই যাব না। ছোট খোকা তাই না ।
ক্লিক হতবিহ্বল স্তব্ধ হাসি মিশ্রিত কান্না ছল ছল চোখ । চিৎকার করে ওঠে কিভাবে এত বড় সমস্যার সমাধান সম্ভব । বড় কঠিন কিন্তু সহজ , খুবই সহজ কিন্তু সোজা নয় । আর এই নিয়ে ১১ টা গ্রহের একটা গ্রহ পৃথিবী । আর এটাই হচ্ছে জগতের নিয়ম । আমি কোন বিজ্ঞানীর কথা মানি না তারা অযথা বিফ্রিং করে । না না একি এরকম বলছি কেন তারাই তো সব কিছু করছে । তাদের জন্য আজ পৃথিবীতে এত আরাম করছে মানুষ। শত শত বছর আগে সভ্যতা বলতে কিছু ছিল না । দাদা বলছেন প্রায় ২০০ বছর আগে ,এখন যে প্লাস্টিক দিয়ে কাজ তা ছিল অসম্ভব । আর এখন সবকিছু অনেক সহজ তার সব বিজ্ঞানীরা অবদান। তাহলে অযথা কেন? না মস্ত বড় ভুল । আমায় ক্ষমা কর বিজ্ঞানী সকল ।
ক্লিক ফোল্ডার ওপেন করে দেখে কিট কিট কামড় হচ্ছে একটা ইশারা, তাছাড়া আর কিছুই না। ক্লিক ভাবনাায় নিমগ্ন কি আছে এই ইশারাতে । ঐ সামান্য ইশারার কারনে সারা পৃথিবীর সমস্ত মানব মস্তক কিট কিট কামড়ের মহা সম্মেলন। ৩০২০ সালে বিজ্ঞানীরা সম্মিলিত হয়ে ঘোষনা করে এই গ্রহে মানুষের প্রয়োজনীয় সব উপাদান সামনে এতএব নতুন আর কিছু আবিষ্কার হবে না । কিন্তু না , নতুন গবেষক মি: বিন আবিষ্কার করলেন কিট কিট কামড়ের নতুন মেশিন । যার ছোট ইশারায় কিট কিট কামড়ের সরগোল সারা বিশ্বে ।
এই আবিষ্কার মস্তিকের সাথে জড়িত। মানব মস্তিকের এর স্নায়ুতন্ত্র এক বিশেষ স্নায়ুতন্ত্র তৈরি করা হয়। আর এই স্নায়ু তন্ত্র অন্য সব স্নায়ু তন্ত্রকে আলাদা করবে সহজে । মি: বিন বিশেষ ক্ষমতা কে কাজে লাগিয়ে বসে পড়লেন খেলায় । মি: বিন বসে পড়লেন তার মেশিনের সামনে । ৩০৩০ সাল  ০৩ মাস ৩০দিন এমন দিনে স্নায়ু তন্ত্র ১০১২ কোড দিয়ে ইশারা করলেন । কমান্ড দিলেন ৩০-০৩-৩০৩০ এর শুভেচ্ছো জানিয়ে দাও সারা বিশ্বকে । যেমনী ইশারা তেমনী কাজ । কিট কিট কামড়ের সরগোল সারা বিশ্বে। এ অবস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়ে মি: ক্লিক । তবে মি: ক্লিক এখন খুবই সস্তির মধ্যে আছে। ক্লিক ভাবে এই গ্রহের বিজ্ঞানীরা আছে দ্বিধার মধ্যে । তারাও আসলে জানে না পৃথিবীতে কখন কি ঘটবে ।
বিজ্ঞানীরা কয়েকটা সূত্র ধরে অগ্রসর হয় । সূত্রগুলো পরিপার্শ্বিক কিছু বিষয় গবেষনা পর্যলোচনা করে । অনুমান নির্ভর একটা নিট ফলাফল গ্রহন করে ।আর এই নিট ফলাফল নিয়ে সাধারণ মানুষ অগ্রসর হয় । বড় বড় বাঘা বাঘা সব জ্ঞানী বিজ্ঞানীরা সাধারন মানুষকে বোকা বানিয়ে দেয়। ক্লিক ভাবে তা যদি না হয়। কিসের উপর ভিক্তি করে সারা গ্রহ বাসীকে জানিয়ে দিয়েছিল মানুষের প্রয়োজনীয় সব জিনিস এখন হাতের নাগালে তাই আর নতুর কিছু আবিষ্কার হবে না। প্রায় ২০০০ বছর আগে কোন এক বিজ্ঞানী বলেছিল পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে এখন আসল সত্য কি ? তারও আগে আর এক বিজ্ঞানী বলেছিল পৃথিবী যেখানে আছে সেখানেই আছে সূর্য ঘুরে ।
ক্লিক রাগান্বিত হয়ে এসব বিজ্ঞানীদের গালি দিয়ে বিড় বিড় করে বলে, তোমরাই সব বল তোমরাই সব কর তোমরাই মিথ্যা বলে পৃথিবীর সব মানুষকে বোকা বানিয়ে দাও। তোমাদের কারনে আমার দিনটা খুব খরাপ গেছে জানিনা আমার মতো আরও কত লোক এরকম অস্থিরতার মধ্যে ছিল । তোমরা যদি আগে থেকে না বলতে আর নতুন কিছু আবিষ্কার হবে না তাহলে হয়ত আমার  অবস্থা এমন হতো না । আমি ধরে নিতাম নতুন কিছু আশ্চর্য ।
নতুন আশ্চর্য এটা ঠিক তবে সমগ্র পৃথিবীকে ফাকিঁ দিয়ে । যেখানে সবাই জানত আর নতুন  কিছু আশ্চর্য ঘটার মতো বাকি নাই। পৃথিবীতে বড় বড় বাঘা বাঘা সব গবেষক সব চিন্তাবিদ কে নিয়ে মি: বিন  বসে গেলেন মেশিনে কিভাবে কাজ করে তার ব্যাখা দেওয়ার জন্য । সারা পৃথিবীর ওলি গলিতে চলে গেল কিভাবে কাজ করে তার আবিষ্কার । সব মানুষের মনে শুধু মি: বিন ,মি: বিন। নাসা , মি: বিন এর সহপাঠী । তার উপর দায়িত্ব পড়ে এই আবিষ্কার নাম দেওয়ার । নাসা অনেক ভেবে নাম রাখলেন নার্ভ কোড। নার্ভ কোর্ড নাম রাখার অনেক যুক্তি আছে । এই আবিষ্কার হচ্ছে নার্ভ এর কোর্ড নিয়ে । প্রত্যেক মানুষের স্নায়ু তন্ত্রের একটা নির্দিষ্ট কোড আছে । যা বিজ্ঞানীরা আগে আবিষ্কার করেছে। আমার স্নায়ু কোর্ড ১০২ । আমি যদি ইশারা করি কোর্ড ২০২ কে বলি এখন ব্যাস্ত তাহলে সাথে সাথে ২০২ কোডের স্নায়ু তন্ত্রে কিট কিট কামড়ের সরগল পড়ে যাবে। ২০২ স্নায়ু তন্ত্র দেখতে পাবে তার ফোল্ডারে বার্তা ভাসমান ।
নতুনের প্রতি অপ্রতুল আগ্রহ এটা অবশ্যিক বিষয় । কিন্তু অ্যরিনা তার নতুন আবিষ্কার নিয়ে সন্দিহান । কারন প্রথম অ্যরিনা তার সহযোগী নিয়ে ঘোষনা দেয় আর নতুন কিছু আবিষ্কার হবেনা । অ্যামিকাস সুর মিলিয়ে সমর্থন দেয়। অ্যারিনা ও অ্যামিকাস চিন্তা করে আমরা তো ফেসে যাচ্ছি। তারা দুজনে তাদের অন্যান্য সহযোগী নিয়ে ফান্সিস সেলে মি: বিন কে নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করে । অ্যারিনার উদ্যেশ্য কি করে নার্ভ কোড কে মিথ্যা প্রমানিত করা যায়।
অ্যারিনা ও তার সহযোগী সবাই জানে তারা যে তথ্য দিয়েছি আর  নতুন কিছু আবিষ্কার হবেনা তা অনেকটা মিথ্যা অ্যারিনা তথ্যে যে ধারনা দেওয়া হয়োছিল তা অনেকটা অনুমান নির্ভর । এটা  অ্যারিনা নিজে ভাল করে জানে। কিন্তু মি: বিন তার সন্মান শেষ  করে দিচ্ছে তার। তার তথ্য ভুল প্রমান করতে হবে। অনেক ফন্দি করে কিন্তু নার্ভ কোডের কাছে তার সব অপকৈাশল চাপা পড়ে । অ্যারিনা ভাবে মি: বিন সত্য আমিই মিথ্যা । আর মিথ্যার পিছনে নয়। নির উপায় অ্যারিনা ঘোষনা দেয় মি: বিন সত্য আমিই মিথ্যা । অ্যারিনা বলে যতক্ষন পর্যন্ত আমার তথ্য সত্য ছিল যতক্ষন পর্যন্ত মি: বিন বিজ্ঞানে ছিল না । এখন মি: বিন বিজ্ঞানে আছেন আমার তথ্য কোন মূল্য নাই । জানিনা পৃথিবীর জন্য আর কি অপেক্ষা করছে। হয়ত আমার পরের প্রজন্ম নতুন কিছু আবিষ্কার করে ফেলবে ।
 চলবে . . . .  . .
কেমন লাগল পরামর্শ আশা করছি।

2 comments:

Rampur society said...

বাংলা ভাষা আসে না ।

MAK Azad said...

অন্য মোবাইল দিয়ে চেষ্টা কর।

বই পড়ুন

একশো বছর আগে প্রকাশিত যে বইটি এখন বাজারে পাওয়া যায় তা ঐ সময়ের সবচেয়ে ভালো বই। বইয়ের লেখক ঐ সময়ের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ। লেখক তার সর্বোচ্চ মেধা এবং সবচেয়ে ভালো কথা গুলো লেখেন। সুতরাং বই পড়ছেন তো সবচেয়ে জ্ঞানী লোকের সবচেয়ে ভালো কথা গুলো পড়ছেন।