আমি
যখন
ছোট
ছিলাম
ক্লাশ
টু
থ্রি
পড়ি।
আমাকে
ভালভাবে পড়াশুনা করার
জন্য
প্রায়
তাগিদ
দেওয়া
হতো।
আমার
বাবা
অল্প
শিক্ষিত। আমার
ভাল
করার
জন্য
তার
কিছু
পদক্ষেপ খুবই
অমানান। তবে
কিছু
পদক্ষেপ খুবই
মানানসহ ছিল।
যেমন
ক্লাশ
টুতে
(ঠিক
মনে
নাই
থ্রিও
হতে
পারে)
পড়া
অবস্থায় ঘোষনা
দিলেন
টু
পাশ
করলে
আমাকে
একটা
সাইকেল
কিনে
দিবেন।
সাইকেল
ওর্ডার
দেওয়া
হয়ে
গেছে।
আমি
ক্লাশ
টু
পাশ
করলাম
সাইকেল
পাইলাম
না।
যুক্তি
হচ্ছে
চাকা
দুটো
বানানো
শেষ।
ফোর
পাশ
কর
সাইকেলের বাকীটা
বানানো
হোক
তারপর
সাইকেল
পেয়ে
যাবে।
ফাইভ
পাশ
করলাম
কিন্তু
সাইকেল
পাইলাম
না।
কিন্তু
আজ
আমি
বুঝতে
পারি
ওটা
ছিল
নিছক
নাটক
, আমাকে
উৎসাহ
দেওয়া।
আমার
কিভাবে
ভাল
হয়
তার
একটা
কৌশল।
শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত সন্তানের ভালর
জন্য
এরকম
কৌশল
প্রায়
সব
পিতা
মাতা
গ্রহন
করে
থাকে।
সব
পিতাই
সন্তানকে উচ্চ
শিক্ষিত করতে
চাই।
সন্তানের ভালর
জন্য
পিতামাতা নিদারুন কষ্ট
করে।
কিন্তু
আজ
পর্যন্ত কোন
পিতা
তার
সন্তানকে ধনী
সন্তান
বানাতে
চাই
না।
সব
পিতাই
চাই
তার
মতো
গরীব
হোক,
তার
সন্তান। সবাই
হয়তো
বলবেন
আমি
এসব
কি
বাজে
কথা
বলছি।
না
মোটেও
বাজে
কথা
না।
এর
একটা
ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা আছে।
আমাদের
পিতারাই গরীব।
তাহলে
আমরা
সন্তানেরা ধনী
হওয়ার
স্বপ্ন
দেখবো
কেমন
করে।
আমরা
ঐতিহাসিক ভাবে
গরীব।
আমরা
নিজের
কাজ
নিজের
মতো
করে
কখনও
করতে
পারিনি। অন্যের
আদেশ
পালন
করেছি
মাত্র।
এভাবে
আমাদের
পিতারা
চাকর
(চাকুরী)
হয়ে
আছে
এবং
অবশ্যই
গরীব
ও
বটে।
গরীব
হওয়াকে
তারা
সম্মানের মনে
করে।
গরীব
বাবারা
(Poor Father) তার
সন্তানকে গরীব
হওয়ার
শিক্ষা
দেয়।
পোর
ফাদার
তার
সন্তানকে বলে
এটা
পড়
তাহলে
চাকুরী
পেতে
সুবিধা
হবে।
ট্রিপল
ই
পড়
অনেক
চাকরি।
কম্পিউটার সায়েন্স পড়,
এখন
কম্পিউটারের যুগ।
ঢাবি
তে
ভর্তি
হতেই
হবে
তা
না
হলে
জীবন
শেষ।
মেডিকেল চান্স
পাইলি
না
তোর
দ্বারা
কিছু
হবে
না।
পোর
ফাদারেরা তাদের
সন্তানকে চাকুরীর জন্য
পড়তে
উৎসাহী
করে।
অপরপক্ষে ধনী
বাবারা
(Rich Father) তার
সন্তানকে বলে
তুমি
এমন
ভাবে
পড়
যাতে
তোমার
মধ্যে
শিক্ষার আসল
আলো
আসে।
তুমি
এমন
ভাবে
পড়
যাতে
তুমি
একটা
কোম্পানী খুলে
বসতে
পার।
যাতে
তোমার
কাছে
লোক
চাকুরী
জন্য
আসে।
তুমি
এমন
ভাবে
পড়,
তুমি
এমন
কিছু
কর
যাতে
মানব
জাতির
কল্যান
হয়।
আমাদের
রিচ
ফাদার
খুবই
অভাব।
প্রায়
সবাই
আমরা
পোর
ফাদারের সন্তান। এখনও
সব
সন্তান
পোর
ফাদার
হতে
প্রস্তুত।
কোটা নিয়ে ঝামেলার মূলে আছে গরীব বাবারা।
তাদের সন্তানদের চাকুরি লাগবেই।
No comments:
Post a Comment