কোন কিছু খুঁজতে চাইলে, বক্সে লিখুন

Friday 21 February 2014

আমি হাজার বছর পর

তারিক টা খুব সুন্দর ৩০দিন ০৩মাস ৩০৩০সাল। মজার ব্যাপার ০ ও ৩  এর খেলা। চার চার টা ৩ ও চার চার টা ০। এরকম দিনে চুপচাপ বসে থাকা যায় না। একটা ইশারা তো চাই। যেমনী ইশারা তেমনী কাজ। গোটা বিশ্ববাসী অবাক একি হচ্ছে এই গ্রহে।


ক্লিক ওয়ান এর মাথায় বাম পাশে কি যেন একটা ক্লিক দিচ্ছে। ক্লিক চিন্তায় অস্থির, দাদার ডাইরি হতে ক্লিক জানে অনেক বছর আগে কি যেন একটা অসুখ ছিল। সারা শরীরে শুধু কিট কিট করে কামড়াত। যতই চিন্তা করছে ততই অস্থির হচ্ছে ক্লিক। সে আরোও জানতে পারে ঐ অসুখটা খুব মারাতœক যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। দুমড়ে মুচড়ে দেহ ছোট হয়ে যাচ্ছে, কাজে মনোযোগ হচ্ছে না। ক্লিক ভাবে তাহলে কি ১০০ বছর পর আবার ফিরে আসবে ঐ অসুখটা। ক্লিক পাশের জনের সাথে আলাপ করে তারও একই অবস্থা। যান্ত্রিক মেশিন দ্বারা বউয়ের খবর গ্রহন করে, বউ শটিং এর একই অবস্থা। শটিং তার স্বামীর খবর পর্দায় দেখে তারও একই অবস্থা। ক্লিক আরও কয়েক জনের ব্যাক্তিগত ফোল্ডারে দেখে সবারই একই অবস্থা। ক্লিক এবার মর্মাহত বিচলিত। সত্যি কি তাহলে ১০০ বছর আগের অসুখটি আবার মাথা উচু করে এসে ধ্বংস করে দিয়ে যাবে কোটি কোটি মানব দেহ। কিট কিট কামড় চিন্তার আঘাত দুটো মিলে তাকে ভংয়কর মনে হচ্ছে। ক্লিক কত কি চিন্তা করে তার কোন হিসাব নেই। গত কয়েক বছর আগে পৃথিবীর সব নামী দামী চিকিৎসক অনেক গবেষনা, আলোচনা, সমালোচনা মাধ্যমে সমস্থ বিশ্ব বাসিকে জানিয়ে দেয়, মানব জাতি সভ্যতার এমন এক পর্যায়ে আছে, য়েখানে মানুষ খুব সচেতন এই সচেতনতার জন্য মানুষ কোন ক্ষতিকর পদার্থ গ্রহন করছে না। আর এই কারনে এখন থেকে কোন অসুখ আক্রমন করতে পারবে না। ক্লিক স্থির হতে পারে না।
 ক্লিক মনে মনে একটা জরিপ করে প্রতি লক্ষ মানুষের জন্য ১০জন ডাক্তার হলে প্রতি কোটি মানুষের জন্য ডাক্তার লাগবে ১০০০জন। ছোট এই শহরে ১০ কোটি মানুষের বাস, সারা পৃথিবীতে ডাক্তার লাগবে প্রায় এক কোটি।
ক্লিক ওয়ান বলে,“আমি নিশ্চিত ১০০ বছরের সেই অসুখটা আবার ফেরত আসছে আমাদের মাঝে।”
শটিং বলে, “ক্লিক তুমি কি জান তোমার সব বিষয়ে কেমন একটা আবেগ কাজ করে যা বর্তমান পৃথিবীতে খুব হাস্যকর।”
তুমি চুপ কর শটিং এ মুহূর্তে ফাজলামো মোটেই আরামদায়ক নয়। তুমি কি জান কিট কিট কামড় কি ভয়ানক অবস্থায় ফেলেছে আমাকে।
বুঝতে পারছি তোমার হাউ মাউ দেখে। ভয়াবহ অবস্থার সহজ সমাধান আছে। মি: ক্লিক হকচকিয়ে ওঠে। এত বড় জটিল বিষয়ের সহজ সমাধান কি হতে পারে।
মি: ক্লিক তোমার মেশিনে যাও, বস, চালু কর তারপর তোমার ফোল্ডার চালু কর। তারপর কি অবস্থা হয় দেখ।
ক্লিক হতবিহ্বল স্তব্ধ হাসি মিশ্রিত কান্না ছল ছল চোখ। চিৎকার করে ওঠে কিভাবে এত বড় সমস্যার সমাধান সম্ভব। বড় কঠিন কিন্তু সহজ, খুবই সহজ কিন্তু সোজা নয়।
ক্লিক ফোল্ডার ওপেন করে দেখে কিট কিট কামড় হচ্ছে একটা ইশারা। ক্লিক ভাবনায় নিমগ্ন কি আছে এই ইশারাতে। ঐ সামান্য ইশারার কারনে সারা পৃথিবীর সমস্ত মানব মস্তক কিট কিট কামড়ের মহা সম্মেলন। নতুন গবেষক মি: বিন আবিষ্কার করলেন কিট কিট কামড়ের নতুন মেশিন। যার ছোট ইশারায় কিট কিট কামড়ের সরগোল সারা বিশ্বে। এই আবিষ্কার মস্তিষ্কর সাথে জড়িত। মানব মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্র এক বিশেষ স্নায়ুতন্ত্র তৈরি করা হয়। আর এই স্নায়ু তন্ত্র অন্য সব স্নায়ু তন্ত্রকে আলাদা করবে সহজে। মি: বিন বিশেষ ক্ষমতা কে কাজে লাগিয়ে বসে পড়লেন খেলায়। মি: বিন বসে পড়লেন তার মেশিনের সামনে। ৩০৩০ সাল ০৩ মাস ৩০দিন এমন দিনে স্নায়ু তন্ত্র ১০১২ কোড দিয়ে ইশারা করলেন। কমান্ড দিলেন ৩০-০৩-৩০৩০ এর শুভেচ্ছা জানিয়ে দাও সারা বিশ্বকে। যেমনী ইশারা তেমনী কাজ। কিট কিট কামড়ের সরগোল সারা বিশ্বে।

ক্লিক বলে,“৩০২০ সালে বিজ্ঞানীরা সম্মিলিত হয়ে ঘোষনা করে এই গ্রহে মানুষের প্রয়োজনীয় সব উপাদান উপস্থিত, এতএব নতুন আর কিছু আবিষ্কার হবে না। বিজ্ঞানীরা আছে দ্বিধার মধ্যে। তারা কিসের উপর ভিক্তি করে বলেছিল পৃথিবীতে আর নতুন কিছু আবিষ্কার হবে না। তারাও জানে না পৃথিবীতে কখন কি ঘটবে। অনুমান নির্ভর একটা নিট ফলাফল গ্রহন করে।
সংক্ষেপিত ডাইরি হতে।

কেমন লাগল পরামর্শ আশা করছি।

বই পড়ুন

একশো বছর আগে প্রকাশিত যে বইটি এখন বাজারে পাওয়া যায় তা ঐ সময়ের সবচেয়ে ভালো বই। বইয়ের লেখক ঐ সময়ের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ। লেখক তার সর্বোচ্চ মেধা এবং সবচেয়ে ভালো কথা গুলো লেখেন। সুতরাং বই পড়ছেন তো সবচেয়ে জ্ঞানী লোকের সবচেয়ে ভালো কথা গুলো পড়ছেন।