কোন কিছু খুঁজতে চাইলে, বক্সে লিখুন

Tuesday 18 February 2014

বাঙালী

আমি কেন পারিনা

নীলা আমার বউ আমি তার একমাত্র স্বামী । কিন্তু নীলা আমার একমাত্র স্ত্রী নয় । আমার অফসিরে ডেস্ক এ যে মেয়েটি থাকে সেও আমার বউ । আমার পাশরে সহর্কমী নীতু সেও আমার বউ সেজে হাজরি হয় । অফিসের সদর দরজায় হাজির হতেই সীমাকে আমার বউ মনে হয়। অফিসের ডেস্ক এ যাওয়ার পর নীতুকে বউ মনে হয়। অফিস শেষে যখন বাড়িতে আসি তখনই হয় ব্যতিক্রম। হায়রে সীমা কিংবা নীতুর মত আমার বউটা হত ।

অফিস থেকে ফিরে ওয়ার্ডবে পোশাক রাখব। এমন সময় বউ চিৎকার দিয়ে বলে না! না ওটা কি করছ। আমি ধারাবাহিক ভাবে বুঝে যায়। আমার কাপড়ে জীবানু আছে। আমি বাহির থেকে এসেছি। চিন্তা করলাম তাকে বলি তুমি এটা ধোলাই কর। কিন্তু না তাতে সে জীবানুযুক্ত হবে। উপায়হীন বহুপত্নীক নিজেই কাপড় পরিস্কার করলাম।
ডব্লিঊ নীলার সন্তান। নীলা ভাবে ডব্লিউ জন্ম দেওয়াতে আমার কৃত্তিত্ব তেমন নাই,যা আছে তা অতি সামান্য। তাই নীলার মতো ডব্লিউ বড় হবে এখানে আমি হস্তক্ষেপ করতে পারবনা। আমি বহুপত্নীক হস্তক্ষেপ করার সাহস কখনও পাইনি। খুব, খুব বেশী ইচ্ছা করে তাকে একবার ছুয়ে দেখি, আদরে আদরে পূর্ণ করি।
আজ শুক্রবার অফিস বন্ধ একটু দেরিতে বিছানা ছাড়ব। এমন সময় ডব্লিউ আমাকে জড়িয়ে বলে আব্বু আজ শ্যামলী শিশু মেলা যাব। চট করে নীলাএসে ডব্লিউ কে নিয়ে যাই বলে আব্বার শরীরে জীবানু আছে এখনও ফ্রেশ হয় নাই। ফ্রেশ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে আদর করা যাবেনা। ডব্লিউ ছোট এত কিছু কি বোঝে। এমন সময় নীলা চট করে প্লাস্টিকের তৈরি নকল হাত দিয়ে বলে এই নাও এটা দিয়ে আদর কর, জড়িয়ে ধর কোন সমস্যা নাই।
চীনের প্রাচীর সম ধৈর্য্য আর থামেনা । তুমি আমাকে নকল হাতে আদর কর তাতে আমি অভ্যস্ত কিন্তু ডব্লিউ কে, না না এটা হতে পারেনা। তালাক দিলাম নীলা কে। চলে গেলাম সীমার কাছে। সীমা নীলার চেয়ে কোন অংশে কম না। কি আর করা চলে গেলাম নীতুর কাছে। নীতু তাড়িয়ে দিল। বহুপত্নীক রাস্তায় বসে চিন্তা করি এভাবে নীলারা তো আর শাসন করতে পারেনা।
বেরিয়ে আসি রাজপথের চৌরস্তায়, গলা উচিয়ে চিৎকার করি হে যুবসমাজ, হে তরুন সমাজ, হে দাবিদার মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম, আর নই আর নই। এই রাজপথ রক্ষা কর নীলাদের হাত থেকে। নীতুদের হাত থেকে। যারা দেশকে ভালবাসে নকল হাতে, যারা তার উত্তরাধিকারীদের বলে নকল হাত ব্যবহার করতে।
এস একটা আসল হাত খুজে বের করি। যার স্পর্শে মায়া আছে, ভালবাসা আছে, আদর আছে।

No comments:

বই পড়ুন

একশো বছর আগে প্রকাশিত যে বইটি এখন বাজারে পাওয়া যায় তা ঐ সময়ের সবচেয়ে ভালো বই। বইয়ের লেখক ঐ সময়ের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ। লেখক তার সর্বোচ্চ মেধা এবং সবচেয়ে ভালো কথা গুলো লেখেন। সুতরাং বই পড়ছেন তো সবচেয়ে জ্ঞানী লোকের সবচেয়ে ভালো কথা গুলো পড়ছেন।