খতিব নামে উচ্চ মাধ্যমিকে আমার এক স্যার আছে উনি ইংরেজি পড়ায়। ২০০৩ সালে উনি পত্রিকা পড়ার ব্যাপারে আমরা যারা প্রাইভেট পড়তাম তাদের সবাইকে উৎসাহী করল। আমি উনার উৎসাহে পেপার পত্রিকা পড়ার উৎসাহী হই। সুযোগ পাইলে পত্রিকা পড়তাম কিন্তু যথেষ্ঠ সুযোগ না থাকায় তেমন পড়া হইত না। তেমন মজা পাইতাম বলে মনে হয় না। ঢিলেঢালা চলল পত্রিকা লাইনে চোখের লাঙলের হাল চালানো। তখন খুব আগ্রহ নিয়ে নিজের এলাকার সংবাদ পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকতাম কিন্তু কোন পত্রিকায় আমার এলাকার কোন সংবাদ পাইতাম না। আসলে আমার এলাকার সংবাদ থাকত কিন্তু আমি নিয়মিত পাঠক না হওয়ার কারনে ঐ সংবাদ গুলো পাইতাম না।
২০০৫ সালে আমি রংপুরে ছিলাম, তখন থেকে আমি প্রথম আলোর মোটামুটি নিয়মিত পাঠক। আসল সত্য খতিব স্যারের পেপার পড়ার পেছনের যুক্তিগুলো তখন সত্য বলে গ্রহন করি। এখন আমি প্রথম আলোর পুরোপুরি নিয়মিত পাঠক। আর এখন আগের তুলনায় আমার এলাকার অনেক সংবাদ পাই। বালিয়াডাংগীর আম গাছ নিয়ে প্রতিবেদন প্রথম আলোয় ছাপা হয়। রানীসংকৈল গড়কই বিল নিয়ে প্রতিবেদন প্রথম আলোয় ছাপা হয়। রানীসংকৈল এর খুনিয়া দিঘি, বালিয়াডাংগীর পা দিয়ে কলম চালায় এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এসব নজর কারা প্রতিবেদন প্রথম আলোয় ছাপা হয়। বুকটা গর্ভে ভরে যায়। চিৎকার করে সারা দেশকে জানিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা করে আমরা ঠাকুরগাঁও বাসী সোনার খনির মধ্যে বাস করি, আমরা রতœ সম্ভারের মধ্যে হাবুডুবু খাই এবং আমি বরাবরই তাই করি।
প্রথম আলোর সাথে আমি আছি থাকব প্রথম আলো তোমাকে অজস্র্র ধন্যবাদ। তোমার কাছে এমন কোন সংবাদ নেই যা ছাপা হয় না। তোমার দ্বারা বিশাল বাংলার ৪ পৃষ্টায় আরও একটা খবর পাইলাম। আগের তুলনায় আরোও বেশী চিৎকার করে বলি আমরা পারিনা এমন কোন কাজ নেই। আমার লেখাটা যারা পড়বে তাদের জন্য চিৎকার করা খবরটা বলে দিই।
‘পীরগঞ্জে প্রথম সাময়িক
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’
কি বন্ধুরা আমার সাথে আপনারা চিৎকার করবেন কি?
এরা হচ্ছে বাংলাদেশের পীরগঞ্জ বাসী ছিঃ ছিঃ!
ডাইরি হতে
কেমন লাগল পরামর্শ আশা করছি।
No comments:
Post a Comment