কোন কিছু খুঁজতে চাইলে, বক্সে লিখুন

Wednesday 12 March 2014

হায়! বে উপায় প্রেমিক ১

Happy new year  ২০৯০  মি: ব্রাউন। মি: রমেশ শুভেচ্ছা জানাল। মনে কর এখন ২০৯০ সাল। রমেশ ঠাকুরগাঁও হতে ঢাকা যাবে বিমান ইন্জিন  নষ্ট। তবে ২০১১ সালের একটা পুরনো মিনিবাস আছে। ২০৯০ সালের বিজ্ঞানের বৈপ্লবিক যুগে মিনিবাস, প্রাইভেট কার, কোচ ভ্রমনে ঢাকা যাওয়া স্ট্যাটাস এর মধ্যে পরে না। সর্বনিম্ন আয়ের মানুষ ২০৯০ সালে এ ভ্রমন পছন্দ করে না। রামেশ বেচারী কি আর করবে তার তো অতি জরুরী সময়ে স্ট্যাটাস এর সহিত ভ্রমন করা হচ্ছে না, তার তো বিমান নষ্ট। অগত্য রমেশ মিনিবাসে ভ্রমন শেষ করবে।

এখন আসল কথাই আসি, বেহুদা লেখক রমেশ কে নিয়ে গেছে ২০৯০ সালে লেখকেরা কল্পনা দিয়ে সব করে। কাউকে এগিয়ে নিয়ে য়ায কাউকে পিছিয়ে। তবে তোমার উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা কারও নাই। কিন্তু আমার সব সময় মনে হয় তোমার উপর হস্তক্ষেপ করার সব ক্ষমতা আমার আছে, আর এ অধিকার থেকে এবার লেখক নয় বেহুদা আজাদ তোমাকে নিয়ে যাবে ১৯৭৫ সালে। আজাদ রমেশ এর মত উপায়হীন ২০১১ সালে মোবাইল  ই-মেইল এর যুগে ১৯৭৫ সালের মত চিঠি লিখবে কারন তোমার সাথে মোবাইলে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। চল না ঘুরে আসি ১৯৭৫।
প্রিয় . . . . .[ফাকাটা তুমি পূরন কর]
আশা করি তুমি ভাল আছ। আমি ভাল আছি কি ? তোমার কাছে জিজ্ঞাসা। তোমার জন্য খুব চিন্তা করি। তোমার সব খোজ নিতে মন খুব চাই কিন্তু পারিনা। তুমি হয়ত চাও যাহা পারনা। আমার খুব খারাপ লাগে যখন হঠাৎ করে হারিয়ে যাও। আচ্ছা যাক ঐসব কথা। একটা গল্প বলি আমার লাখপতি ভাই মুকুল সব সময় মোটর বাইক নিয়ে ঘুরে চা খাইতে, বাজারে যাইতে সব সময়। আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর দুপুর ১২ টা মোটর বাইকের প্লাগ ময়লা ইনজিন চালু হচ্ছে না ভাইয়া বার বার চেষ্টা করছে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। মন খারাপ “যা শ্যালীকা নাসিমার সাথে মজা হইল না, শাশুড়ীর মজার খাবার খাওয়া হইল না।”  কিছুক্ষন পর ভাইয়ার বন্ধু রাশেদ ভাইয়াকে বলল “দোস্ত তোর তো দুইটা সাইকেল চাকর-চাকরানী সব তো ঈদের ছুটিতে তোর একটা সাইকেল দেনা টুকটুকির সাথে দেখা করে আসি অনেক রোমান্স হবে।” ভাইয়া হকচকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় ওঠে বসে-“ নে দোস্ত আমার পুরাতন সাইকেলটা তুই নে আর নতুনটা আমি নিই।” ভাইয়ার মনটা ভাল হয়ে গেল। এবার তোমাকে বলি নিজেকে একবার মুকুল এর জায়গায় একবার রাশেদ এর জায়গায় বসিয়ে কল্পনা কর তুমি এইচ এস সি পাশ করেছ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারনি কিন্তু অনেক বন্ধু আছে তারা পাশই করতে পারেনি। তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারনি তাহলে কি কাঁদবে।
আর একটা গল্প মনে পড়েছে বলি - কয়েক দিন আগে খাবার টেবিলে বসে আছি দেখলাম ছোট কালো পিপড়া ভাতের ওপর হাটাহাটি করছে বেশ কয়েকবার এদিক সেদিক ঘুরাফেরা করল। এক সময় টানার চেষ্টা করছে কয়েক বার চেষ্টা করল পিপড়াটি বার বার ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। এবার সে ব্যর্থ হয়ে চলে যাচ্ছে। ভাবলাম পিপড়া নিরাশ, কিন্তু না পথে তার একজন সঙ্গী, এবার দুজনে মিলে চেষ্টা করছে এবারও তারা ব্যর্থ হইল এবং স্থান ত্যাগ করল। ভাবলাম যা পিপড়া আর পারল না, আসল সত্য তা নয় তারা দুজনে আরও সঙ্গী নিয়ে আসল ২ ৪ ৮ ১৬ ইত্যাদি। শেষে পিপড়া সুস্বাদু খাবার আস্তানায় নিয়ে যেতে সক্ষম হইল। কঠোর পরিশ্রম , সর্বাধিক মনোবল সফলতা বয়ে নিয়ে আসে। একবার ব্যর্থ তার মানে তুমি পুরোপুরি ব্যর্থ নও চেষ্টা কর সফলতা তোমাকে ডেকে নিয়ে আসবে। একবার খারাপ করেছ তাতে কি সময় তো শেষ হয়ে যায়নি আর একবার চেষ্টা কর নিশ্চিত সফলতা।
তুমি জান খুব ভাল করে জান আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি।  ঠিক সময়টা মনে নেই ২০০২ সাল প্রথম যখন দেখি তখন থেকে তোমার ছবিটা হৃদয়ে বসে য়ায। অনেক ভাল-খারাপ, আশা-হতাশা, পূর্নতা-অপূর্নতা থেকে আজ ২০১১ আজ তোমাকে আগের থেকে অনেক বেশী ভালবাসি অনেক বেশী পছন্দ করি। ভালবাসার জায়গা থেকে বলছি তুমি কঠোর ভাবে শপত নিয়ে বসে পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতেই হবে। তোমার সফলতা মানেই আমার সফলতা অযথা মন খারাপ করে সময় নষ্ঠ কর না। ইনশাল্লাহ সফল তুমি হবেই।
এবার আমার দুইটা কথা বলি। তোমাকে পছন্দ করি ভালবাসি কিন্তু তোমার কাছ থেকে কখনও নিশ্চয়তা পাইনি আর এজন্য একা একা সঙ্গীহীন, ভালবাসাহীন একটু ভালবাসা পাওয়ার জন্য একটু আদর পাওয়ার জন্য অনেক দিন অতিবাহিত করেছি। তোমার একটু উৎসাহ , একটু ভালবাসা অনেক অসাধ্য সাধন করতে সাহায্য করবে। তুমি আমার পাশে থাক দেখবে আমি অনেক বড় হয়ে গেছি।
লেখাটা শুরু করেছি ব্রাউনকে ২০৯০ সালের শুভেচ্ছা দিয়ে শেষ করছি ১৪১৮ সালের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা দিয়ে  শুভ নববর্ষ।

কেমন লাগল পরামর্শ আশা করছি।

No comments:

বই পড়ুন

একশো বছর আগে প্রকাশিত যে বইটি এখন বাজারে পাওয়া যায় তা ঐ সময়ের সবচেয়ে ভালো বই। বইয়ের লেখক ঐ সময়ের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ। লেখক তার সর্বোচ্চ মেধা এবং সবচেয়ে ভালো কথা গুলো লেখেন। সুতরাং বই পড়ছেন তো সবচেয়ে জ্ঞানী লোকের সবচেয়ে ভালো কথা গুলো পড়ছেন।